একবার, একটা অন্ধকার ঘরে চারটে মোমবাতি জ্বলছিল। ঘরটা এতটাই শান্ত আর নিস্তব্ধ ছিল যে মোমবাতিগুলো নিজেদের মধ্যে কথা বলতে শুরু করল।
প্রথম মোমবাতি, যার নাম ছিল শান্তি, বিষণ্ন স্বরে বলল,
"মানুষ এখন আমাকে আর চায় না। চারদিকে শুধু যুদ্ধ আর অশান্তি। এমন জায়গায় আমি কীভাবে টিকে থাকি? আমার আর এখানে থাকার প্রয়োজন নেই।"
এই কথা বলেই শান্তি মোমবাতিটা ধীরে ধীরে নিভে গেল।
দ্বিতীয় মোমবাতি, যার নাম ছিল বিশ্বাস, বলল,
"মানুষ আর একে অপরের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারে না। মিথ্যা, প্রতারণা আর সন্দেহে ভরা পৃথিবীতে আমি কি করে থাকব? আমারও সময় শেষ।"
এ কথার পরেই বিশ্বাসের আলোও নিভে গেল।
তৃতীয় মোমবাতি, যার নাম ছিল ভালবাসা, চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলল,
"মানুষ এখন আর ভালোবাসা অনুভব করে না। তারা একে অপরের প্রতি রাগ, হিংসা আর ঈর্ষায় ডুবে গেছে। আমারও আর কোন মানে নেই।"
এরপর ভালবাসার আলোও নিভে গেল।
এমন সময়, একটা ছোট্ট ছেলে ঘরে ঢুকল। ঘরের ভেতর অন্ধকার আর নিভে যাওয়া মোমবাতিগুলো দেখে তার মন ভেঙে গেল। সে বলল,
"তোমরা কেন নিভে গেলে? তোমরা তো পৃথিবীকে সুন্দর করে তোলার জন্য!"
হঠাৎ, সে লক্ষ্য করল চতুর্থ মোমবাতি তখনও জ্বলছে। এই মোমবাতিটার নাম ছিল আশা।
ছেলেটি উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল,
"তুমি এখনও জ্বলছে! তুমি যদি আমাদের সঙ্গে থাকো, তবে আমরা আবার বাকি মোমবাতিগুলোকে জ্বালাতে পারি!"
আশা বলল,
"হ্যাঁ, যতক্ষণ আমি আছি, সব কিছু সম্ভব। আমাকে ধরে রাখো, আর আমি তোমাকে আলোর পথ দেখাব।"
ছেলেটি আশা দিয়ে একে একে শান্তি, বিশ্বাস আর ভালবাসার মোমবাতিগুলোকে আবার জ্বালিয়ে দিল।
---
মোরাল:
জীবনে যতই অন্ধকার নেমে আসুক না কেন, আশা কখনও নিভতে দিও না। আশা থাকলে, হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস, শান্তি আর ভালোবাসাও ফিরে আসে।
Post a Comment